বগুড়া ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব, সম্পাদক জয় 

 বগুড়া ব্যুরো 
০৮ নভেম্বর ২০২২, ০৯:০৬ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের ৩০ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আবেদন করার দীর্ঘ নয় মাস পর সজীব সাহাকে সভাপতি ও আল মাহিদুল ইসলাম জয়কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। 

সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। 

ঘোষিত কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও ১৭ জন সহ-সভাপতি, পাঁচজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ছয়জন সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়া হয়েছে। সহ-সভাপতিরা হলেন- তৌহিদুর রহমান তৌহিদ, মিথিলেস কুমার প্রসাদ, রাকিবুল হাসান শাওন, সাজ্জাদ আলম পারভেজ, নূর মোহাম্মদ সাগর, মুকুল ইসলাম, শেখ হৃদয়, আতিকুর রহমান আতিক, রায়হান কবির, তোফায়েল আহমেদ তোহা, সিদ্ধার্থ কুমার দাস, শামিমা সুমি সাহা, জাহিদ হাসান, আল আমিন হোসেন পাপ্পু, অনুরাগী তিশা, সবুজ বিশ্বাস ও রাকিবুল হাসান। 

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকরা হলেন- মাহফুজার রহমান, রাকিবুল হাসান, মিনহাজুল ইসলাম সজল, আহসান গালিব প্লাবন এবং আহসান হাবীব শুভ। এছাড়া সাংগাঠনিক সম্পাদক হলেন-আল নোমান সাব্বির, আল ইমরান হোসেন, নয়ন অধিকারী, বজলুর রহমান বাঁধন, রিয়াজ মাহমুদ রক্সি ও সুজন আকন্দ।

সোমবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিতরা শহরের টেম্পল রোডে দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। অফিসের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এছাড়া সাবেক প্রচার সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির ছয় নম্বর সহ-সভাপতি মুকুল ইসলাম ফেসবুকে দু:খ প্রকাশ করে সংগঠন ত্যাগ করার ঘোষণা দেন।

এ প্রসঙ্গে নতুন কমিটির সভাপতি সজীব সাহা জানান, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ না পেয়ে সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদকসহ অন্যরা অভিমানে দলীয় কার্যালয়ে তালা দেন ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। 

তিনি বলেন, তাদের সাথে সাবেক কমিটির তেমন সম্পৃক্ততা ছিলনা। সজীব সাহা বিশ্বাস করেন, শিগগিরই তারা অভিমান ভুলে যাবেন।

জেলা ছাত্রলীগের সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৭মে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্র থেকে নাইমুর রাজ্জাক তিতাসকে সভাপতি ও অসীম কুমার রায়কে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। 

২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর ১৫৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এরপর চলতি বছরের গত ২১ জানুয়ারি রাতে কেন্দ্র থেকে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এর ১১ দিন পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে অন্তত ৫০ নেতা আবেদন করেছিলেন। 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন